
সাঁথিয়ায় ভূমি অফিসের নায়েব কুপ্রস্তাব দিলেন নারী গ্রাহককে


সাঁথিয়া (পাবনা) থেকে আবু সামা
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়ন ভুমি অফিসের নায়েব রেজাউল হক লাভলু কুপ্রস্তাব দিলেন নারী গ্রাহককে।
জানা যায়, করমজা ইউনিয়নের আফড়া গ্রামের বিধবা এক নারী সরকারি সম্পত্তি ডিসিআর নেওয়ার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করেন। উপজেলা ভূমি অফিস থেকে করমজা ইউনিয়নের নায়েবকে সরেজমিন প্রতিবেদন দেওয়া জন্য পাঠান। ভুক্তভোগী নারী কয়েক দিন করমজা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে খবর নেন তার কাজের। ২৯ জুলাই সকাল ১১টা ১৪ মিনিটে ভুক্তভোগী নারী নায়েবের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে তার কাজের খবর জানতে চান। তখন নায়েব রেজাউল হক লাভলু ওই নারীকে বলেন, আপনি আমার সাথে কাশিনাথপুর দেখা করবেন তাহলে আপনার কাজ আমি করে দেবো। কাশীনাথপুর কেন দেখা করতে হবে জানতে চাইলে নায়েব বলেন, আপনাকে আমার সাথে কাশিনাথপুর একান্ত সময় কাটাতে হবে তাহলেই আমি আপনার কাজটা করে দেবো।
আরো জানা যায়, নায়েব রেজাউল হক লাভলু ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই করে না। সে গ্রাহকদের সাথে চরম খারাপ আচরণ করে। আফড়া গ্রামের মিজানুর রহমান, জিয়াউর রহমান ও রেজাউল হক-এর কাছ থেকে এই নায়েব ৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছে জুলাই মাসে নামজারির প্রতিবেদন বাবদ।
ভুক্তভোগী বিধবা নারী কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, নায়েব রেজাউল হক লাভলু যখন আমাকে কাশীনাথপুরে গিয়ে একান্ত সময় কাটানোর প্রস্তাব দিলেন তখন আমি আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা ফাইনাল করে ফেলছিলাম। পরে চিন্তা করলাম আমার ২টা ছেলে ওদের বাবা নাই আবার আমিও যদি আত্মহত্যা করি তাহলে ওরা কার কাছে থাকবে। পরে চিন্তা করলাম জমি পাই আর না পাই আমি আইনের আশ্রয় নেবো।
করমজা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব রেজাউল হক লাভলু বলেন, আমি অফিসে অনেক ব্যস্ত থাকি তাই ওনার সাথে কাশীনাথপুর দেখা করার কথা বলছি। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন ভুক্তভোগী নারীর বাড়ির পাশ দিয়েইতো আপনি প্রতিদিন অফিসে যাওয়া-আসা করেন তাহলে ওনার সাথে আপনি কাশীনাথপুর কি কাজে যাবেন? কাশীনাথপুর কি আপনার হেড অফিস? সে কি আপনার বান্ধবী? নাকি আলু কিনতে যাবেন তার সাথে? তখন নায়েব কোনো কথা না বলে চুপচাপ থাকেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ